মোঃ জসিম মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে সখ্যতা গড়ে তুলে ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারন করে ব্লাকমেইল এবং শর্তে রাজি না হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারংবার ধর্ষণ করা পাশবিক ধর্ষক মোঃ জসিম (৪২) পিতা-মোঃ সেলিম, সাং-জুলদা, থানা-কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম মহানগর‘কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকায় তার স্বামীর সাথে বসবাস করতেন। ভিকটিমের স্বামী একটি নিয়মিত মামলায় ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর হতে ২০২৩ সালের ০৭ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন। ভিকটিমের স্বামী কারাগারে থাকা কালীন সময়ে ধর্ষক জসিমের সাথে ভিকটিমের মুঠোফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে এই বন্ধুত্বের জের ধরে জসিম ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় কিন্তু ভিকটিম এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় জসিম প্রতারণা ও ব্লাকমেইলের আশ্রয় নেয়।
অভিযুক্ত জসিম ভিকটিমের ব্যক্তিগত মুহুর্তের বিভিন্ন ছবি তাকে দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সর্ম্পক করার প্রস্তাব দেয় এবং সে যদি রাজী না হয় তবে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে আসামী জসিম গত ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিমকে তার ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় এবং তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে আসামী জসিম ভিকটিমকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করে।
গত ০৭ মার্চ, ২০২৩ইং তারিখে ভিকটিমের স্বামী জেল হতে বের হলে ভিকটিম তার স্বামীকে উপরোক্ত ঘটনা খুলে বলে এবং সুবিচার পাওয়ার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে বিষয়টি অবগত করে।
ভিকটিমের এরুপ অভিযোগের বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম মানবিকতার সহিত আমলে নেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গত ১৪ মার্চ, ২০২৩ইং তারিখ ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী জসিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী ভিকটিমকে তার ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারংবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর মোবাইল তল্লাশী করে ভিকটিমের ৭টি ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।