ববি চক্রবর্তী সাথে Anti Addiction Campaign এ
THE PRINCIPAL… MR. জন অ্যান্ড্রু বাগুল
ববি চক্রবর্তী সঙ্গে ছাত্র ছাত্রীরা
সাইনার সঙ্গে ববি চক্রবর্তী
সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা
এস প্লাস ডেস্ক : আজকাল বর্তমান প্রজন্ম ( বিশেষ করে শৈশব এবং কৈশোরের সময়) নানান সমস্যায় জর্জরিত। সেই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? কোন পথে আসতে পারে সমাধান? সেই চেষ্টাতেই অভিনেতা, সমাজকর্মী, শিক্ষক ববি চক্রবর্তীর এক আন্তরিক প্রয়াস, যা শুধু দেশের ভেতরই নয়, দেশের বাইরেও তিনি নিয়ে গিয়েছেন।
অভিনেতা ববি চক্রবর্তী বরাবরই একটু আলাদা মানুষ ৷ আসলে প্রতিদিন তিনি নিজেকে অন্যরকম ভাবে ভাবতে পছন্দ করেন। তার প্রজেক্টের নাম AAC মানে Anti Addiction Campaign।
সম্প্রতি সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে, ক্যাম্পেন নম্বর-385, তিনি তাঁর এই সচেতনতামূলক প্রকল্প তুলে ধরেন। এদিনের বিষয় ছিল-‘I am the king of my mind’ ; যার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বার্তা যা শুধু ছোটদের নয় বড়দেরও প্রতিদিনের নেশা বর্জন করা এবং সুস্থ জীবন যাপন করা, নানাবিধ অসুখ থেকে নিজেকে ভালো রাখতে কি কি করতে হবে তার বার্তা। জীবনযাপনে নানান পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই ববি তাঁর এই প্রকল্প সাজিয়েছেন যাতে সমাজের নানাবিধ অসুখ সারানো যায়। অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জীর মেয়ে সাইনা চ্যাটার্জী ( ক্লাস সেভেনের ছাত্রী) তার স্কুলে সচেতনামূলক এই ক্যাম্পেন হওয়ার কারণে অভিষেক চ্যাটার্জির স্ত্রী সংযুক্ত চ্যাটার্জী উৎসাহ দেন তার মেয়েকে ববি চক্রবর্তী সঙ্গে থাকার জন্য। সাইনা ও খুব আনন্দ সহকারে ববি চক্রবর্তী সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য এগিয়ে আসে।
এই স্কুলের প্রিন্সিপাল “জন অ্যান্ড্রু বাগুল’ ববি চক্রবর্তী কাজে খুশি হন এবং তার স্কুলের ছাত্রী সাইনা চ্যাটার্জিকে ববি চক্রবর্তী সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সাইনার কাজের প্রতি একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ সকলে, স্কুলে অনুষ্ঠান চলাকালীন করতালির মাধ্যমে সাইনাকে উৎসাহ দেন সকলে। ববি চক্রবর্তী জানান : সাইনার কাজগুলো যদি মিঠুদা দেখত তাহলে খুবই আনন্দিত হতো, তবে আমার বিশ্বাস মিঠুদা অভিনেতা (অভিষেক চ্যাটার্জি ) ওপর থেকে হাততালি দিচ্ছে। ও সাইনাকে উৎসাহ দিচ্ছে। ববি চক্রবর্তী সংযুক্ত চ্যাটার্জিকে (অভিষেক চ্যাটার্জী স্ত্রী) আশ্বাস দেন ভবিষ্যতে কাজ করবেন সাইনাকে সঙ্গে নিয়ে।
প্রসঙ্গত, আমাদের অসুখ তো শুধু শরীরে নয়, মনেও হয়। আর হ্যাঁ, মননেও হয়। ববি সমসাময়িক এই কঠিন সময়ে সামাজিক অসুখ সারানোর এই জরুরি প্রয়াসে ব্রতী হয়েছেন। নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও পজিটিভ এনার্জি নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় সেটাই আসল শিক্ষা।
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একজন যোদ্ধা লুকিয়ে আছে। যুদ্ধ কীসের বিরুদ্ধে? যুদ্ধ হল, জনপ্রিয় ক্ষতিকারক ধারণার বিরুদ্ধে। জীবন-যাপনকে শুদ্ধ করাটাও একটা লড়াই। মাদক শুধু রাসায়নিকে নয়, পারিপার্শ্বিকেও থাকে। আশপাশের নানান কু-অভ্যাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। তাই নিজের ওপর ভরসা রাখতে হবে। ঠিক-ভুল চিনতে হবে। সংবেদনশীলতা বাড়াতে হবে। আত্ম-উপলব্ধিতে শান দিতে হবে। মানুষকে সম্মান করাই আসল ধর্ম।
ববির প্রকল্পে যে কেউ যুক্ত হতে পারেন, নিজেকে আরও উন্নততর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার রেওয়াজ। সামিল হতে পারলে, লাভ বই ক্ষতি কিছু নেই। আরেকটু সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন যাঁরা দেখেন বা অন্যকেও দেখতে সাহায্য করেন, ববি তাঁদের অন্যতম।