নিজস্ব প্রতিনিধি:
আবারও প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। কেননা অভিযোগ উঠেছে কানপুরের দেহাতে ৩ শিশু সহ এক দম্পতিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত দম্পতির নাম সতীশ কুমার এবং কাজল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে খাওয়ার পর তিন সন্তানকে নিয়ে ঘুমোতে যান সতীশ এবং কাজল। সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, সেই সময় ঘরে আগুন লেগে যায়। সতীশের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন তাঁর মা। পরিবারের অন্য সদস্যদের ডাকাডাকি করে তোলেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে ঘরের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর হওয়ায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পারেননি। ঘরের মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু হয় সতীশ, কাজল এবং তাঁদের তিন সন্তানের।
কিন্তু এই ঘটনা ঘিরে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, ঘরে আগুন লেগেছে দেখেও কেন ঘুম ভাঙল না কারোরই? তাহলে কী তাঁদের এমন অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল যাতে তাঁদের চিৎকার করার মতো ক্ষমতাও না থাকে! বা ঘরের বাইরে বেড়িয়ে আসার মতো ক্ষমতা না থাকে! স্থানীয় পুলিশের দাবি, ঘরের ছাউনির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা বালবে শর্ট সার্কিট হয়েছিল। তা থেকেই আগুন ধরে গিয়েছিল সতীশের ঘরে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন দমকলের আধিকারিকেরাও। কিন্তু সেই দাবির সঙ্গে সহমত নন স্থানীয় গ্রামবাসীরা এবং সতীশের পরিবার। তাঁদের দাবি এই ৫জনকে কার্যত খুন করা হয়েছে। ঘরের বাইরে থেকে এমন কিছু ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল যাতে ঘুমের মধ্যেই চেতনা হারান তাঁরা। আর তারপর বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কানপুর দেহাতের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। সতীশদের মৃত্যু বেশ কয়েকটি প্রশ্নও তুলে দিয়েছে। মূলত যেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা হল, ঘরে আগুন লাগল অথচ সতীশ বা কাজল কেউ টের পেলেন না কেন? যদি টের পেয়েও থাকেন, তা হলে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেননি কেন। ফরেন্সিক দল ইতিমধ্যেই সতীশের ঘর পরীক্ষা করে দেখছে। ডগ স্কোয়াডকেও তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় সতীশের মা-ও আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।