এসপ্লাস নিউজ ডেস্ক:
কেন লিওনেল মেসিকে ফিফার ভোট দিলেন রিয়েল মাদ্রিদের ফুটবলার হয়ে। অস্ট্রিয়ার জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ডেভিড আলাবাকে কার্যত একঘরে করে দেওয়া হল রিয়েল মাদ্রিদে এই রকম ‘অপরাধ’ করে। ৩৫ বছরেও ফিফার বর্ষসেরার খেতাব পেয়েছেন মেসি কাতারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রিয়েল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো করিম বেঞ্জিমার ফিফার বর্ষসেরার তালিকায়।
বর্ষসেরার বাছাই তালিকায় থাকা ফুটবলারদের ভোট দেন ফিফার সদস্য দেশগুলির জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন এবং কোচ। এছাড়াও বাছাই কিছু সাংবাদিক এবং সমর্থকরাও এই ভোটিং প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। এরপরে ফিফার নির্ধারিত প্যানেল বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করে।
অস্ট্রিয়ার জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন হিসাবে আলাবা প্রথম বাছাই হিসাবে ভোট দিয়েছেন মেসিকে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রেখেছেন যথাক্রমে তাঁর রিয়েল মাদ্রিদের সতীর্থ করিম বেঞ্জিমা এবং পিএসজির কিলিয়ান এমবাপেকে। আলাবার এই পছন্দেই রেগে লাল রিয়েল মাদ্রিদ সমর্থকরা। ১৭ বছর বার্সেলোনায় কাটানো মেসিকে কার্যত শত্রুই মনে করেন রিয়েল মাদ্রিদ সমর্থকরা। আর শত্রুপক্ষকে তাঁদেরই ক্লাবের ফুটবলার ভোট দেওয়ার ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম নেয়। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাবাকে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় মাদ্রিদ সমর্থকদের তরফ থেকে।
যাতে শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হন অস্ট্রিয়ান তারকা। সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে নিজের পক্ষে সমর্থন দিতে গিয়ে লিখেছেন, “এই পুরস্কারের জন্য গোটা অস্ট্রিয়ান দল ভোট দেয়। স্রেফ আমার একার মতামত বিবেচ্য হয়না। দলের টিম কাউন্সিলে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেই ফিফার ভোটিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রত্যেকেই এমনকি করিম নিজেও জানে আমি ওঁর (বেঞ্জিমা) খেলা কতটা পছন্দ করি। আমি এর আগে একাধিকবার জানিয়েছি, ওই দুনিয়ার সেরা স্ট্রাইকার। এখনও আমি নিজের সেই মতামতে অটল। এতে কোনও সংশয়ই নেই।”
টানা একদশক বায়ার্ন মিউনিখে খেলার পর রিয়েল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন আলাবা। তারপরে এমন বিশ্রী ঘটনার মুখে পড়তে হল তাঁকে। এর আগেও রিয়েল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র মাদ্রিদ-ডার্বির আগে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। মাদ্রিদে এরকম ঘটনা যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। যার কড়া নিন্দা করছে ফুটবল বিশ্ব।