নিজস্ব প্রতিনিধি, লাহোর (পাকিস্তান):
টানা ২০ ঘন্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ কর্মী-সমর্থকদের বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইসলামাবাদ পুলিশ। যদিও শেষ চেষ্টা হিসেবে নতুন করে বাড়তি পুলিশ বাহিনী ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতেও হয়তো এবারেও খালি হাতে ফিরতে হবে পুলিশকে। অন্যদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যানের দায়ের করা আর্জির শুনানি শুরু হচ্ছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি আমির ফারুখের এজলাসে ওই শুনানি রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে ইসলামাবাদ পুলিশের ডিআইজি শাহজাদ বুখারির নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী হাজির হয়েছিল লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে। কিন্তু বাধার প্রাচীর হযে দাঁড়ান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দলের কর্মী-সমর্থকরা। সন্ধে থেকেই পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের দফায়-দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। জলকামান ও লাগাতার কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েও পিটিআই কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করা যায়নি। বরং টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরুদ্ধ করে পুলিশের গতিরোধে সক্ষম হন তাঁরা। গভীর রাতেই পরিস্থিতি সামলাতে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানদের নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তারাও ব্যর্থ হন।
বুধবার সকাল থেকেই ইমরান খানকে গ্রেফতার করার জন্য নতুন উদ্যমে ঝাঁপানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের ভিড় হঠানো সম্ভব হয়নি। কারযত টানা ২০ ঘন্টার বেশি চেষ্টা চালিয়েও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে না পারায় ইসলামাবাদ পুলিশের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তবে সূত্রের খবর, যদি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট গ্রেফতারি পরোয়ানার উপরে স্থগিতাদেশ জারি না করে তাহলে স্বেচ্ছায় ধরা দিতে পারেন পিটিআই চেয়ারম্যান।