ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ২৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার, মহালয়া। এই দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে মাতৃপক্ষ সূচনা হয়। আর এদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গা পুজো শুরু হয়ে যায় বাঙালির।
কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। মহালয়া তে অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আলোকজ্জ্বল দেবীপক্ষকে আগমনের দিনও বলা হয় ।
শাস্ত্রবিশেষজ্ঞরা জানান যে, পিতৃপক্ষের অবসানে তাই জীবনে মহা লগ্ন নিয়ে আসে ‘মহালয়া’। তর্পণের শেষে তাই সূর্যপ্রণাম করে অসুরবিনাশিনী দেবীকে আহ্বান করে বলা হয়— শোক, তাপ, দুঃখ, অমঙ্গল, অন্ধকার কাটিয়ে আলোকে উত্তরণের এগিয়ে নিয়ে চলো দেবী।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র:
তিনি একটা নাম, একটা যুগ, একটা ইতিহাস। কলকাতার শ্যামপুকুরের ছোট্ট গলিপথ, নাম- রামধন মিত্র লেন। তেমন প্রশস্তও নয়। কিন্তু সেই গলিরই সাত নম্বর বাড়ীর বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ ভদ্র আর সরলাবালা দেবীর পুত্র বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠ এই গলি, শহর, রাজ্য, দেশ এমনকি সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে আজ এক চিরন্তন স্থান নিয়েছে বাঙালীর হৃদয়ে।
মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণের গলায় চন্ডীপাঠ। ভদ্র বাড়ির মূল দরজার পাশে আজও জ্বলজ্বল করছে কালীকৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কে-কে ধরের ফলক। পিতা কে-কে ভদ্রের থেকেও পুত্র বি-কে ভদ্র মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র যে এক দৃষ্টান্ত তৈরি করবেন তা কেউ ভাবতেও পারেন নি।