এসপ্লাস ডেস্ক : এলিয়েন নিয়ে মানুষের যেন আগ্রহের শেষ নেই ৷ মানবসভ্যতা শুরুর থেকেই অজানাকে জানতে চাওযার একটা টান রয়ে গেছ মানুষের । অতল সমুদ্র থেকে অজানা মহাকাশের পথে পাড়ি দিতেও নেই বাধা ৷ বর্তমানে বিজ্ঞানের কল্যাণে নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নিতে চাইছে মানুষ। পৃথিবীর অজানা গূঢ় রহস্য খুঁজতে বিদ্যুতগতিতে এগোচ্ছে ৷ তবে অনেকদিন ধরে সৌরজগতের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করলেও এবার তাদের লক্ষ্য সৌরজগতের বাইরের দুনিয়ায় । আচ্ছা সৌরজগতের বাইরেও কি রয়েছে প্রাণের সন্ধান? সেখানের প্রাণীরা দেখতে কি আমাদের মতন ? এলিয়েন বা ভীনগ্রহীদের নিয়ে যেন কৌতূহলের শেষ নেই।
এলিয়েন নিয়ে এত মাতামাতি যেন মাথা খারাপ করে দেবার মত ৷ কল্প বিজ্ঞানের সিনেমা থেকে শুরু করে কাল্পনিক UFO তে দেখানো হয় এলিয়েন ৷ তবে এই সবই মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত। বহুবছর ধরে গবেষণা, পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে অনেকেই ৷ সৌরজগতের বাইরে প্রাণ খুঁজতে নেমেছে পৃথিবীর বহু দেশ। তবে তার আজও কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি ৷
এলিয়েন নিয়ে সবথেকে বেশী গবেষনা করছে নাসা ৷ এমনকি বর্তমানে এই গবেষণার জন্য মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে সাংকেতিক বার্তা। কিন্তু এই বার্তা পাঠানো নিয়েই বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতের অমিল দেখা গেছে । আশংকা করা হচ্ছে এলিয়েন আক্রান্তের ৷
অনেক মহাকাশ বিজ্ঞানীর কথায় , “আমাদের গ্রহ ছেড়ে মহাকাশে বার্তা ছড়ালে তথ্য জানার জায়গায় ঘটতে পারে বিশাল বিপত্তি। অজানাকে জানার পরিবর্তে হয়তো উল্টে আমাদেরই বেঁচে থাকা হয়ে যেতে পারে কঠিন। তবে এতসবের মাঝেও “বেকন ইন দ্য গ্যালাক্সি” নামের এক বিশেষ বার্তা মহাকাশে পাঠিয়েছে নাসা” ।
এই বার্তা প্রেরন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অক্সফোর্ডের বিখ্যাত ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ ৷ তার ভাষায়, “মহাকাশে এইরকম বার্তা পাঠানো আমাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে । এই বার্তা পাঠানোতে হতে পারে বিপদের আশঙ্কা। পাশাপাশি, বিজ্ঞানীদের অনেকেই নিজেদের আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান যে, যদি সৌরজগতের বাইরে সত্যিই কোনও জগৎ থাকে, এবং সেখানকার প্রাণীরা পৃথিবী থেকে পাঠানো এই বার্তার খোঁজ পেয়ে যায় তাহলে ক্ষতির মুখে পড়বে পৃথিবী ৷
তবে ভীনগ্রহীরা যদি আমাদের চেয়ে বিজ্ঞানে বেশি উন্নত হয় এবং তারা যদি আমাদের আক্রমন করে সেটা থেকে বাঁচার কোনো পথই জানা নেই পৃথিবীর মানুষের ।