এসপ্লাস ডেস্ক : অভিনেতা ববি চক্রবর্তী বরাবরই একটু আলাদা মানুষ ৷ বছরের বেশীরভাগ সময়টা অভিনয়ে জুড়ে থাকলেও তার মাঝে ঠিক সময় করে সামাজিক কর্মকান্ডে এগিয়ে আসবেনই ৷ আর উৎসবের মরশুম হলে তো কথাই নেই ৷ সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িতে দেবেন দুঃস্থ , অসহায় মানুষের দুয়ারে ৷ এ বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এ বছরও অভিনেতা ববি চক্রবর্তীর পার্কস্ট্রিটের পথ শিশুদের মুখে দীপাবলীর আলোয় হাসি ফোটালেন। একইসাথে দুই শিশু সমাজকর্মী সুমিত ভট্টাচার্য এবং অঙ্কিত শেঠ নিজেদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তারাও দাড়ালো পথশিশুদের পাশে ৷
ববি চক্রবর্তী টিমের এই দুই শিশু সমাজকর্মী ‘নেশা আসক্তি বিরোধী’ অভিযানে সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক ; যখন তারা ক্লাস ফাইভে ছিল তখন থেকেই তাঁরা ববি চক্রবর্তীর সাথে যুক্ত ছিল। প্রতিবছর সুমিত এবং অঙ্কিত তাদের নিজেদের হাত খরচের টাকা সঞ্চয় করে এবং ফুটপাতের শিশুদের খুশি করতে নিজের অর্থ দান করে।
এই বছরের ব্যতিক্রম হল না। ববি চক্রবর্তী সহ সুমিত এবং অঙ্কিত কলকাতার পার্কস্ট্রিটে অবস্থিত ফুটপাতের কিছু শিশুদের সাথে দীপাবলি উদযাপন করেন। অভিনেতা সহ তার দুই শিশু সদস্য কলকাতার পার্কস্ট্রিটে পথ শিশুদের পছন্দের জামা কাপড় কিনে দেন এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটান।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা ববি চক্রবর্তী নাম টা আজ অনেক পরিচিত নাম। ববি চক্রবর্তী একজন সফল অভিনেতা হলেও ; এই অভিনেতার অভিনয় করতে করতেও শুধু মনে হত সমাজের জন্য কিছু করতে হবে। মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। ববি চক্রবর্তীর মনের সেই অদম্য ইচ্ছার জোরেই,যুব সমাজের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। ভুল পথে পা বাড়ানো সেই ছোটো ছেলে–মেয়েদের সঠিক পথে পরিচালনা করাই তাঁর জীবনের ব্রত। অল্পবয়সি ছেলে–মেয়েদের সব রকমের নেশা এবং ক্ষতিকারক হুজুগের থেকে দূরে রাখার জন্য, তার এই প্রচেষ্টা, অনেক মা–বাবার বুকে তাঁদের সন্তানকে সুস্থ্য করে ফিরিয়ে দিয়েছে।
বহু বছর ধরে ববি চক্রবর্তী এই সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ছোটদের মধ্যে, গ্রাম, শহর, দেশে, বিদেশে বিনামূল্যে। তিনি চান তার পরিবারের মতন যেন আর কোন পরিবারের নেশা বা অন্যান্য ক্ষতিকারক অভ্যাসের জন্য ক্ষতি না হয়।
যে বার্তা দিলেন অভিনেতা ববি চক্রবর্তী :
“এটি একটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের উপায় খুঁজে দেওয়ার তাগিদে, ২ ঘণ্টার ইন্ট্যারাক্টিভ ওয়ার্কশপ। সমস্ত রকমের নেশার (ধূমপান, মদ্যপান, গুটকা, হুকা, হিংসাত্মক ভিডিও গেমস, ইন্টারনেট) বিরুদ্ধে এবং প্রতিটি ক্ষতিকারক অভ্যাসের (অবমাননাকর ভাষা, গালাগালি,কোনও ব্যক্তিকে অসম্মান করার হুমকি, নারীদের অসম্মান করা, ট্রোলিং ইত্যাদি) বিরুদ্ধে এই সচেতনতা। আমি বিশ্বজুড়ে ৩৪০টিরও বেশি স্কুল এবং কলেজে এই কর্মশালা করিয়েছি এখনও পর্যন্ত। এটি স্কুলে অনুষ্ঠিত হলে, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য ভীষনভাবে উপযোগী। এই স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজটি আমি নিখরচায় এবং বিনামূল্যে করে থাকি ৷ আমার দরকার শুধু একটি কর্ডলেস মাইক্রোফোন। আগ্রহী স্কুল–কলেজ / প্রিন্সিপাল/ শিক্ষক–শিক্ষিকাগণ, আমায় আমার ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ৷ bobbymobil2001@yahoo.com