এসপ্লাস ডেস্ক: এক অদ্ভুত অন্ধকারের দেশে বাস করি আমরা, যে ভূমিতে নারীশক্তি পূজিত হয়, আবার নারীরাই হয়ে ওঠে আক্রমণ, লাঞ্ছনা আর নিগ্রহের শিকার। সেই নারীই অর্থাৎ মা দুর্গা মহিষাসুরের মত এক অপরাজেয় শক্তিকে বধ করেছিলেন। তাঁকে বধ করে গোটা সৃষ্টি কে রক্ষা করেছিলেন তিনি। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর সহ গোটা ত্রিভুবন যখন মহিষাসুরের মত শক্তিকে হারাতে অক্ষম তখন একজন নারীই বাঁচিয়েছিলেন সমগ্র সৃষ্টিকে।
নারী ও পুরুষ উভয়েই এ পৃথিবীর তথা সৃষ্টির দুটি পরম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একটি ছাড়া অপরটি কখনোই সম্পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। নারীরা হলেন পুরুষের মতোই সমাজের অপরিহার্য একটি অংশ। নারী ছাড়া কোনো দিনই একটি সমাজ সম্পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। পুরুষরা যদি সভ্যতাকে বহন করে নিয়ে যায়, নারী সেই সভ্যতার ধারক। পৃথিবীর উন্নতির জন্য নারীর অধিকার একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তাই এই নারীশক্তি এবং নারীর কথা নিয়ে আসন্ন মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে মুক্তি পাচ্ছে অভিনেতা অরূপ বিশ্বাস এর লেখা গল্প স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি “নারীশক্তি”।
এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি প্রযোজনা করছে অরূপ এন্টারটেইনমেন্ট।
জানা গিয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে শুটিং, পরিচালনায় থাকছেন সন্দীপন দাস ও প্রধান চরিত্রে থাকছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী।
পৃথিবীতে নারীর অপরিসীম গুরুত্ব বর্তমান। নারী ছাড়া পৃথিবীতে সৃষ্টির অস্তিত্বকেই কল্পনা করা যায় না। নারী হলো সৃষ্টির প্রতীক। এ বিশ্বে নারীর শরীর থেকে নতুন প্রাণের জন্ম হয়।
স্বামীজি বলেছিলেন যে সমাজে মাতৃ শক্তি অবহেলিত হয়, সেই সমাজ কোন দিন নিজের মেরুদন্ড সোজা করে উঠে দাঁড়াতে পারে না। স্বামীজীর এই কথা সত্য। নারীশক্তির মধ্যে লুকিয়ে থাকে সভ্যতার উন্নতির এক বিপুল সম্ভাবনা। যার উন্মোচন ঘটাতে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।