স্নিগ্ধা পাত্র : করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের পর ট্রেন চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্থানে জোরালো বিক্ষোভ একটি অতি সাধারন ঘটনা ৷ এরই মাঝে বাস পরিষেবা চালু হলেও তাতে নেয়া হচ্ছে বেশী ভাড়া ৷ তা নিয়েও চরম সংকটে মধ্যবিত্তের পকেট ৷ একদিকে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ৷ তার উপর কাজও হারিয়েছেন অনেকে ৷ বাস মালিকেরাও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নিয়ম মেনে বাস চালু করতে গিয়ে লস গুনছেন তাই ভাড়া বেশী নিতে হচ্ছে তাদের এমন দাবিও যৌক্তিক ৷ এই সংকটে সরকার ছাড়া সবার পাশে দাঁড়াবার আর কেউ আছে কি ?
করোনার চোখ রাঙানিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত কলকাতায় আমফানের তান্ডব তছনছ করে দিয়েছিলো ৷ বাংলার জেলায় জেলায় অপূরনীয় ক্ষতি করে গিয়েছিলো আমফানের তান্ডব ৷ সেই ক্ষত সারিয়ে তুলতেই কিন্তু সরকারের ভূমিকা ছিলো একেবারে আশ্চর্যজনক ৷ মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই করোনা আমফানের মতো তাবৎ ক্ষত সারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো চাট্টিখানি কথা নয় ! সেটিও করে দেখিয়েছে আমাদের সরকার ৷ ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়েছে জেলায় জেলায় ৷ যদিও সেটি নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক আছে তবুও একথা স্বীকার করতেই হবে যে, সেই সাহায্য তো মানুষই পেয়েছে ৷ দল-মতের উর্ধেই তো মানুষ ৷ সব ধর্মের বড় যে মানবধর্ম সেটি কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে বেশ বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরা শংকায় আছেন যে, এরই মধ্যে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ না এসে যায় ৷
তারই দুঃশ্চিন্তায় অনেক কিছু খুলতে খুলতেও খুলছে না ৷ কদিন বাদেই পুজো ৷ পুজোর সময় বন্দ থাকুক আর খোলাই থাকুক, বাইরে না হোক- বাঙালীর ঘরে কিন্তু পুজো জমবে সেটি স্বীকার করতেই হবে ৷ ধনী গরীব মধ্যবিত্ত সবাই চায় এই কটা দিন পরিবারের সাথে অন্তত সময় কাটাতে ৷ অন্য খরচের হিসেবের খাতা বন্ধই রাখছি ৷ যেগুলি অতি জরুরী সেগুলি চালাতে গেলেও তো অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসা প্রয়োজন ৷ আমার মনে হয় অন্তত তা অনেক মধ্যবিত্তেরই নেই ৷
যাইহোক কাজের জায়গা খোলা থাকায় মানুষের কিছুটা স্বস্তি এসেছে ৷ তবে দুরপাল্লার আন্তরাজ্য ট্রেন স্বাভাবিক না হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে ৷ এই দূর্যোগের মাঝখানে সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে করোনা বিধি জারি রেখে চালু হোক ট্রেন ৷ আর বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জন্য রাখা হোক আইনের কড়াকড়ি ৷