নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা (বাংলাদেশ):
আবারো ইতিহাস গড়ল টাইগাররা। রবিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি টুয়েন্টি ম্যাচে সাত বল বাকি থাকতে চার উইকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিতল সাকিবরা। আর জয়ের কারিগর দুজন। বল হাতে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আর বীর বিক্রমে ব্যাট করলেন নাজমুল হাসান শান্ত (৪৭ বলে অপরাজিত ৪৬)।
টসে জিতে এদিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি জস বাটলারদের। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে ডেভিড মিলানকে (৫)সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন আমেদ। তবু চালিয়ে খেলে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তোলে ইংলিশরা। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে ফিল সল্টকে (২৫)ফিরিয়ে দেন সাকিব। পরের ওভারে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে পরাস্ত করেন হাসান মাহমুদ। নবম ওভারের শেষ বলে মেহেদি হাসান মিরাজের বল তুলে মারতে গিয়ে আউট হন মঈন আলি। জুটি বেঁধে দলের বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বেন ডাকেট ও সাম কুরান। দুজনে জুটি বেঁধে ৩৪ রান করেন। ১৫ তম ওভারে বল করতে এসে ইংলিশ শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন মেহেদী। কুরানকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। এক বল বাদে শূন্য রানে ফেরান ক্রিস ওকসকে। ১৭তম ওভারে ক্রিস জর্ডানকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন। পর পর উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া সফরকারী দল শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
জয়ের জন্য ১১১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামে টাইগাররা। কিন্তু এদিন ফের ব্যর্থ হন লিটন দাস (৯)। রনি তালুকদারও দ্রুত ফেরেন। এর পরে নাজমুল হাসান শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে ৩১ বলে ২৯ রান করেন। তৌহিদকে (১৮ বলে ১৭) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রেহান আমেদ। কিন্তু ইংলিশ বোলারদের মাথায় চড়তে দেননি শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনে ঠাণ্ডা মাথায় দেখেশুনে আদিল রশিদ, ক্রিক ওকসদের সামাল দেন। ১৬ তম ওভারে মেহেদি হাসানকে (১৬ বলে ২০) ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে ধাক্কা দেন জোফ্রা আর্চার। পরের ওভারে শূন্য রানে টাইগার অধিনায়ক সাকিবকে সাজঘরের পথ দেখান মঈন আলি। আফিফ হোসেনকে (২) ফিরিয়ে টাইগারদের চাপে ফেলার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন আর্চার। শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের পাঁচ বলে ১৫ রান তুলে ইতিহাস গড়লেন শান্ত ও তাসকিন আমেদ। দুজনে অপরাজিত থাকলেন ৪৬ ও ৮ রানে। শেষ দুই বলে পর পর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানদের গর্বকে চুরমার করে দিলেন তাসকিন।