ডেস্ক রিপোর্ট : ‘মহালয়া’ শব্দটির অর্থ- মহান যে আলয় বা আশ্রয়। ‘মহালয়’ শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কারণ এই দিনেই পিতৃপক্ষের অবসান হয় এবং অমাবস্যার অন্ধকার দূর হয়ে আলােকময় দেবীপক্ষের শুভারম্ভ হয় । এখানে দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয় বা আশ্রয় ।
‘মহালয়া’ পিতৃপক্ষের অবসানে তাই জীবনে মহা লগ্ন নিয়ে আসে। তর্পণের শেষে তাই সূর্যপ্রণাম করে অসুরবিনাশিনী দেবীকে আহ্বান করে বলা হয়— শোক, তাপ, দুঃখ, অমঙ্গল, অন্ধকার কাটিয়ে আলোকে উত্তরণের এগিয়ে নিয়ে চলো দেবী।
অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। মহালয়ের এই লগ্নে যাঁদের পুত্র নেই, যাঁদের কেউ নেই, তাঁদেরও স্মরণ করা হয়ে থাকে।
হিন্দু বিশ্বাসে এমনটাও বলা হয় যে, মহালয়ার দিন তর্পণ করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ মেলে। সাংসারিক সুখ, সমৃদ্ধির সঙ্গে মেলে শান্তি।